বিস্মৃত অতীত


বিস্মৃত অতীত! কতনা নিঠুর তুমি!
জ্বালা যাতনা তব ভান্ডারে যত,
দিয়েছ তুমি মোর শিরে ততো!
ভুলতে চাই- আমি নত। 
তবু পিছু আস শত!
শৈশব জীবন ছিলনা কত মধুর,
তারি মাঝে দুঃখ লালিত সুদুর-
অজ্ঞাত ছিল মোর,
প্রণয়ে আছে ঘোর 
আছে অহনিশি রঙিন স্বপ্রের মেলা
আছে বিলম্বিত প্রহর গোনার পালা 
আর দুঃস্বপ্রের জ্বালা। 
শৈশবে ছিনু মোর কত সহপাঠী,
ওরিন, ওসমান, জিল্লু, নাহিদ- আর 
ছিনু বাসুদেব মোর সাথী। 
সুফিয়া, মারিয়া, Wªywmjv, মেরি আরো 
কত সহপাঠিনী।
তারি মাঝে সাকি ছিনু 
মোর প্রণয়ের সাথী। 
সে ছিনু মোর প্রদীপ শিখা,
অনুপ্রেরণা আর আশা-উদ্দীপনার।
হেসে খেলে মোরা হয়েছি বড়
সময়ের সাথে ছন্দ মিলিয়ে। 
তারপর-!
অস্পষ্ট!
অস্পষ্ট সবই। 
দিন হয় গত সাকি মোর শ্রুত;
স্মৃতি ফিরে শুধু অন্তরে 
হৃদয় তাই দুমড়ানো। 
ভাবি- এ বেদন বড় দুঃসহ,
লাঘবের মন্ত্র থাকেতো কহ। 
হায় স্মৃতি! তুমি কি  বিস্মৃত?
হৃদয়  যে আজি নিংরানো। 
তবুও রুধে না সে
বিস্মৃত হয় যে শ্রুত
সমাপ্তির অন্তরালে.......... । 
তারপর-! 
তারপর-
মাস পেরিয়ে সূচীত হয়েছে 
নববর্ষের নবপ্রবাহের খেলা, 
সাঙ্গ হয়েছে কৈশর মোর 
প্রাণে লেগেছে দোলা আর 
নব দিগন্তের খেলা। 
ছিন্ন হয়েছি সকলে মোরা 
দিনে দিনে শুধু বেড়েছে জ্বালা 
সাকি ছিনু মোর বিনি সুতার মালা।

এবার, অবশেষে-
হিসাব নিকাশের পালা।
আসে বিদায় বারতার ছলাকলা।
অভিসারিনী ফিরে চপল ভূষণে, 
হৃদয় অলিন্দে তুষানল দিয়ে
কালের সংগোপনে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post